২০২৬ সালের হজ কার্যক্রমের জন্য সৌদি সরকার এরই মধ্যে রোডম্যাপ বা সময়সূচি প্রকাশ করেছে। সেই আলোকে আগাম প্রস্তুতির অংশ হিসেবে অংশগ্রহণে আগ্রহী হজ এজেন্সিগুলোর কাছে আবেদন আহ্বান করেছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
সোমবার (১৪ জুলাই) এক চিঠির মাধ্যমে এজেন্সিগুলোকে আবেদন দাখিলের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সৌদি সরকারের প্রকাশিত রোডম্যাপ অনুযায়ী হজ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে হলে আগেভাগেই প্রশাসনিক ও কারিগরি প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে হবে। সে লক্ষ্যে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত যেসব হজ এজেন্সি ২০২৬ সালের হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণে আগ্রহী, তাদের স্বত্বাধিকারী বা ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের কাছে আবেদনপত্র দাখিলের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আবেদন জমা দিতে হবে ধর্ম মন্ত্রণালয় নির্ধারিত ফরমে, যা তারা নিজ উদ্যোগে প্রস্তুত করেছে। ফরমে প্রয়োজনীয় তথ্য, সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র ও প্রমাণাদি সংযুক্ত করতে হবে। এই আবেদন যাচাই-বাছাই করে অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য হজ এজেন্সিগুলোর তালিকা চূড়ান্ত করা হবে।
এদিকে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত রোডম্যাপ অনুযায়ী:
২০২৫ সালের ১০ জুলাই: ২০২৬ সালের হজের জন্য কোটার সংখ্যা ঘোষণা করবে সৌদি সরকার।
২০২৫ সালের ৯ অক্টোবর: বাংলাদেশ ও সৌদি সরকারের মধ্যে হজ চুক্তি সম্পাদনের সম্ভাব্য তারিখ।
২০২৫ সালের ১২ অক্টোবরের মধ্যে: ২০২৬ সালে হজে যেতে ইচ্ছুক বাংলাদেশি হজযাত্রীদের প্রাক-নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ করতে হবে।
ধর্ম মন্ত্রণালয় বলছে, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে না পারলে হজ ব্যবস্থাপনায় জটিলতা তৈরি হতে পারে। তাই যথাসময়ে আবেদনপত্র জমা দিয়ে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে এজেন্সিগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
হজ সংশ্লিষ্ট সব আপডেট, নির্দেশনা ও ফরম পাওয়া যাবে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে: www.hajj.gov.bd